প্রতিদিনের মতন খুব সকালে বের না হয়ে, আজকে কিছুটা দেরি করেই থানার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলেন করিম সাহেব। অফিস টাইম হওয়ায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও সিএনজি পেলেন না। তাই করিম সাহেব বাসে উঠেছেন।
তিনি পেশায় একজন পুলিশ অফিসার। তিনি অনেকের কাছে ইউনিফর্ম পরিহিত ভালো একজন লোক হলেও বেশিরভাগ মানুষের কাছেই চরিত্রহীন একজন ব্যক্তিত্ব।
বাসে সিট নেই। তাই দাঁড়িয়েই যেতে হচ্ছে। তার একটু পাশে একটি অল্পবয়স্কা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটিকে দেখে আন্দাজ করলেন হয়তো কলেজে পড়ে। করিম সাহেবের থেকে বয়সে অনেকটাই ছোট মেয়েটি। কিছুক্ষণ পর করিম সাহেব মেয়েটির একদম কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ালেন। মেয়েটির শরীরের সাথে ঘেষে দাঁড়ানো, মেয়েটির হাতের সাথে ইচ্ছে করে হাত লাগানো আবার গাড়ির ঝাকুনিতে ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়েটির উপর শরীর হেলানো এসব সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট করছিলেন ঐ মেয়েটির সাথে। মেয়েটি লোকটির উদ্দেশ্য আন্দাজ করতে পেরেও লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না বলে বাস থামাতে বলে। বাস থামানো হলে, সে বাস থেকে নেমে চলে যায়। করিম সাহেবের ঠোঁটের কোণায় অনেকটা হিংস্র জন্তুর ন্যায় মুচকি হাসি দেখা যায়।
করিম সাহেব থানায় যাওয়ার পর, আরেকজন পুলিশ অফিসার বললেন,
- স্যার, আজকে একজন মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। মনে হয় (একটু থেমে) মেয়েটাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। স্যার, লাশটাকে একবার চেক দিতে যাবেন না?
- আরে মিয়া! তুমি যাও তো। আমাকে এইসবে টাইনো না।
- আচ্ছা স্যার। আমিই যাচ্ছি।
মেয়েটির লাশের স্পট থেকে সংগৃহীত জিনিসপত্র দেখে করিম সাহেব কিছুটা অবাক হয়েছিলেন। কারণ মেয়েটির লাশের কাছ থেকে পাওয়া জিনিসগুলোর সাথে তার মেয়ে ইতুর জিনিসপত্রের অনেক মিল ছিল। পরে কাজের চাপে আর ব্যাপারটি নিয়ে তেমন মাথা ঘামান নি।
অনেকক্ষণ পর সন্ধ্যা শেষে প্রায় রাতের দিকে করিম সাহেবের স্ত্রী কল দিয়েছেন৷ সে কল রিসিভ করেই শুনতে পেলেন,
- ওগো, ইতু তো স্কুল থেকে এখনও আসেনি! ইতুর কোনো খোঁজ পাচ্ছি না আমি। (কাঁদো কাঁদো গলায়)