অনিয়মিতা
রোজ ভাবি তুমি আসবে!
তবু কেন আসো না।
রোজ ভাবি তুমি হাসবে!
তুমি তবু হাসো না।
তুমি আমার ম্যাথের খাতার পিথাগোরাসের উপপাদ্য,
তুমি আমার কবিতার খাতার অপ্রকাশিত কোনো পদ্য।
মাঝরাতে তুমি সাদা শাড়ি পড়ে স্বপ্নে আমার আসো,
ঘুম ভেঙে গেলে দেখি তোমাকে আনমনে শুধু হাসো।
সহজ সরল জীবন জুড়ে তুমিই গোলকধাঁধা
ঘুড়ি হয়ে উড়ছো তুমি আমার আকাশে সদা।
রঙিন ঘুড়ি, রঙিন সুতো, রঙিন তোমার আকাশ
ব্যস্ত এই জীবন মাঝে তুমিই আমার অবকাশ।
আড়াই পৃষ্ঠার ভুল করা কোনো অঙ্কের মতোই তুমি!
পিকাসোর হাতে রঙে ভেজা কোনো তুলির মতোই তুমি!
হবে কি আর দেখা!
হবে কি গান শেখা?
তোমায় নিয়ে লেখাগুলো কি রয়ে যাবে অদেখা।
আমার মস্তিষ্কের সেরিব্রাম জুড়ে শুধুই তোমার কল্পনা।
তুমি আমার লোহিত কণিকার হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জনা।
ভিঞ্চির রঙে আঁকা তুমি মোনালিসা
ঘুম হয়ে আসো চোখে ওগো অনিশা।
আমি যদি মরু হই তুমি হবে মরীচিকা
দুঃস্বপ্ন হয়ে আসো ওগো বিভীষিকা।
অনিয়মিতা!
তুমি কেমেস্ট্রি এক্সামের আগে কাটানো নির্ঘুম রাত,
অনিয়মিতা!
তুমি মায়ের হাতের ভোরবেলার শুভ্র গরম ভাত।
বৃষ্টির শেষে কুয়াশা হয়ে থেকো আমার পাশে
সেই কুয়াশায় হারিয়ে কেন চোখে বৃষ্টি আসে!
আমি যদি কৃষ্ণ হই, হবে কি তুমি মীরাবাঈ
যদি আমি বিভ্রম হই, হবে কি তবে ছলনাময়ী!
অনিয়মিতা,
কখনোই আসবে না!
অনিয়মিতা,
কখনোই হাসবে না!