প্রকৃতির ক্রোধ
প্রকৃতির তার প্রত্যেকটি সন্তানকে অতি মায়া মমতা দিয়ে লালন পালন করে। কিন্তু সেই প্রকৃতি শ্রেষ্ঠ সন্তানই যখন অবাধ্য হয়ে যায় তখন প্রকৃতির লুকানো বেদনা ও অভিমান যেন তীব্র হতে থাকে। সে তীব্র ব্যথা ধীরে ধীরে পরিণত হতে থাকে ক্রোধে। ক্রোধের সীমানা যখনই লংঘন ঘটে তখনই প্রকৃতি যেন হয়ে ওঠে ধ্বংসকারী কোন ভয়াবহ রূপ। সেই প্রকৃতির রূপে জীবন জীবিকা যেন নিশ্চুপ হয়ে যায়। জীবন ও জীবিকা শব্দ দুটি যেন শুকনো পাতার মতো যখন গাছে বেঁচে থাকে কি সতেজ আর সবুজ দেখায়। গাছ থেকে ঝরে পড়ে গেলেই মূল্যহীন। তখন সেই সন্তানেরা ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং বলে আমরা শুধু বেঁচে থাকতে এসব উপায় সন্ধান করি। প্রকৃতি যেন আত্মচিৎকারে বলে ওঠে ভালোভাবে কি বাঁচা যায় না? নিজেদের মধ্যে রক্তারক্তি, মারামারি, খুন, দুর্নীতি, ধর্ষণ ঝগড়া, বিশ্বাসঘাতকতা, পরিবেশ দূষণ বনভুমি ধ্বংস আর সবই যেন আমাকে গিলে খাচ্ছে। তখন সেই সন্তানেরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারে কিন্তু আফসোস তারা সেই ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। প্রকৃতি তখন এক আত্মনিশ্বাস ছেড়ে বলে তাহলে তোমাদের ধ্বংস অবধারিত।
লেখা: ফারহান ইশরাক
শিক্ষার্থী, সেনা পাবলিক স্কুল ও কলেজ